শিরোনাম
Passenger Voice | ০৪:০৬ পিএম, ২০২৪-০৪-২০
বেশ কয়েকদিন ধরে যশোর অঞ্চলের উপর দিয়ে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনদিন ধরে যশোরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। এই অবস্থায় যশোর শহরের ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার পিচ পর্যন্ত গলে যাচ্ছে।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, বেলা দেড়টায় যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল ৪১ দশমিক ২ এবং বৃহস্পতিবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এভাবে একের পর এক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে যশোরের কিছু সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। স্থানে স্থানে গাড়ির চাকা বা পথচারীর স্যান্ডেল জুতোর সঙ্গেও পিচ উঠে যাচ্ছে।
এদিকে, বিটুমিন গলে পিচ উঠে যাওয়ায় সড়ক সুরক্ষার জন্য মাঠে নেমেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। তারা গলে যাওয়া পিচের উপরে বালি ও কুচি পাথর দিচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ আবার পূর্বের অবস্থায় থাকে।
যশোর-নড়াইল সড়কের ঝুমঝুমপুর বাজারে রিকশা চালক রফিক হোসেন জানান, রোদ গরমে দুপুর থেকে রাস্তার পিচ গলতে শুরু করে। দুপুর গড়ানোর পর রাস্তার পিচ যেনো কাদায় পরিণত হয়। ফলে রিকশার চাকা রাস্তায় আটকে যায়। এতে তাদের এক্সিডেন্টের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি রাস্তারও এবড়ো থেবড়ো হয়ে যাচ্ছে।
ঝুমঝুমপুর বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, রাস্তায় হাঁঠতে গেলে জুতো স্যান্ডেল পিচে আটকে যাচ্ছে। দু’একজন পিচ থেকে তুলতে না পেরে স্যান্ডেল রেখেই চলে যাচ্ছেন। গাড়ির চাকার চাপায় তা রাস্তার পিচের সঙ্গেই আটকে থাকছে।
শুধু যশোর-নড়াইলই নয় যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানেও একই অবস্থার খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের কারণে বিটুমিন গলে যাওয়ায় সড়কের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত সড়কে যে পিচ ব্যবহার করা হয় তা ৬০-৭০ গ্রেডের। এর গলনাঙ্ক ৪৮ থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সওজ সংশ্লিষ্ট সূত্র পিচ গলার কারণ হিসেবে দাবি করেছে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকলে বাতাসের আদ্রতার কারণে অনুভূতির পরিমাণ আরও কয়েক ডিগ্রি বেশি। সড়কের পিচের উপরে এই তাপমাত্রা আরও প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। আর কালো হওয়ায় এই পিচ সূর্যের তাপও শোষণ করে বেশি। এছাড়া সড়কে চাকার ঘর্ষণের ফলে উৎপাদিত তাপও এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পিচ গলে যেতে পারে। তবে এর বাইরে সড়কের কাজ মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এজন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালি ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে। যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
প্যা.ভ/ত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.